মানুষ সামাজিক জীব

সভ্যতার সূচনায় মানুষের কোন ঘর ছিলো না। বনে-বাদরে, জঙ্গলে, প্রকৃতির মাঝে মানুষ কোন ভাবে এক সঙ্গে থাকত। পৃথিবীতে যখন থেকে এলো মানুষের নিজস্বতা বা ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা, তখন থেকেই মানুষের প্রয়োজন হলো ঘরের। পাহাড়ের গুহায়, গাছে কোটর বানিয়ে- নানা পদ্ধতিতে মানুষ ঘর বানাতে শুরু করলো। লজ্জা স্থান ডাকার জন্য চামড়া পরিদান করতো শিখলো। জঙ্গলে পশু-পাখি শিকার করে আহার করতো লাগলো। সেই এক যোগ-  যাহা বিলুপ্ত হয়েছে, এসেছে আধুনিক যোগ। আমরা আধুনিক যোগে বসবাস করছি ঠিকই, কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা এখনো আধুনিক হয়নি। হিংসাত্মক সমাজে সব সময় প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে থাকে। ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে এলাকা ভিত্তিক, গ্রাম ভিত্তিক দন্দ, কোন্দল, মারামারি, হানাহানি চলতেই থাকে। নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ উচ্চবিত্ত মানুষের দ্বারা বিভিন্নভাবে নিপীড়িত। বর্তমানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রকট রূপ ধারণ করেছে। রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে একে অপরের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা মত্ত রেখেছে নিজেকে। যা সমাজকে আলোর দিক থেকে অন্ধকারে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতে নিজের মতামত ব্যক্ত করা যাচ্ছে না। সমাজের একজন সাধারণ নাগরিক বা সদস্য যাই বলি এটার মূল্য নগন্য যার প্রতিফলন হিসেবে তৈরি হচ্ছে হিংসা বিদ্বেসের।

মানুষ সামাজিক জীব

মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজে বসবাস করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সমাজে কতটুকু সম্মান নিয়ে বসবাস করবে এটাই মূল বিষয়। মানুষ যা চাই তার সবটুকু আশা বা প্রত্যাশা পূরণ হোক বা না হোক তাতে কোন কিছু আসে যায় না। কিন্তু নূন্যতম একটা অধিকার মানুষের আছে যা আমাদের দেশে মৌলিক অধিকার বলে ধরা হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত আমাদের সমাজে অনেক ভূমিহীন মানুষ আছে যারা বসবাস করে রাস্তায়। বর্তমানে আমাদের সমাজকে ভিক্ষুকমুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যহত আছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি সম্ভব? যারা একবার ভিক্ষা শুরু করেছে তাদের কোনো লজ্জা লাগে না। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা অর্থনৈতিক দিন দিয়ে অনেক দূর্বল তারা না পারছে ভিক্ষা করতে, না পারছে সুখি জীবনযাপন করতে। তাহলে তারা কি করবে? আমাদের সমাজ কৃষি প্রধান সমাজ কিন্তু দিন দিন কৃষি হয়ে উঠছে কৃষকের দুঃখের কারণ। প্রকৃতিক দূর্যোগের কারণে অনেক ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাহলে কৃষক কি করবে? টাকা ধার নিয়ে ফসল ফলাচ্ছে কৃষক কিন্তু বছর শেষে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ গ্রামের চাষীরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form