কাঁশ বাগানে ঐ সরু পথে, ঐ যে আমার বাড়ী
সরষে মাঠে ঐ দেখা যায়, হলদে বরণ শাড়ী।
শাড়ীর ভাজে লুকিয়ে আছে, বিরাগ বধুর মন
সরষে দোলার হাওয়ায় দুলে, দাড়াও কিছুক্ষণ।
বধুয়া আমার মন বধুয়া, খোপায় কদম ফুল
চিরন দাঁতের হরিন চোঁখে, লম্বা বেনীর চুল।
হাজার ফুলের মাঝে এমন, কোথায় বল দেখি
প্রিয়া আমার দাড়িয়ে আছে, আমার নাকি সে কি!
দুপুর বেলা বাড়ী গেলে, শীতল পাটি মেলে
আশেপাশে বসে তখন, সুখ দুঃখের কথা বলে।
সুখ কোথায় গো, মন ভোমরা আমরা গরীব মানুষ
সুখের কথা যারা বলে, তারা রঙিন ফানুস।
আশায় আছি তাদের মত, দিন কি আমার হবে?
হলেও সেদিন দোয়া করি, তুমি অাশেপাশে রবে।
শ্রোতের মাঝে দাড়িয়ে আছে, সাগর জলের খেলা
সরষে মাঠে মৌমাছিরা, কাটিয়ে দেয় বেলা।
ফুলের গন্ধে মন ভরে না, থাকতে নাহি ঘরে
কেমনে যাব ধানের ক্ষেতে, হাড় কাপানো জ্বরে।
ঐ যে দেখ পুকুর পাড়ে, তালের সারি সারি
রসের মিঠাই রসের পিঠা, খেজুর গাছে হাড়ী।
উনুন পানে সকাল বেলা, শিশির ভেজা ভোর
নামাজ শেষে তোমার পাশে, কাঠের পিড়ি মোর।
ও বধুয়া নীরব কেন, পিছন পানে চাও
দুঃখের দিনে মধুর সুরে, একটি কলি গাও।
যে কলিটি মেঘলা দিনে তোমার ছোট বোনের মুখে
আজকে না হয় আবার শুনাও দুঃখের দিনের সুখে।
রাখ তোমার পুরান কথা, নতুন কথা কও
কখন যাইবা গঞ্জের ঘাটে, ব্যাগটা হাতে লও।
বাইগুন আনবা লম্বা দেইখা, ইলিশ যদি পাও
তড়িৎ কর খাড়াই আছে, রহিম শেখের নাও।
জানি গো বধু সরিষা ফুলে, যায় না গাঁথা মালা
তার পরেও আসায় থাকি, মেলিয়া রাখি ডালা।
সরষে মাঠে ঐ দেখা যায়, হলদে বরণ শাড়ী।
শাড়ীর ভাজে লুকিয়ে আছে, বিরাগ বধুর মন
সরষে দোলার হাওয়ায় দুলে, দাড়াও কিছুক্ষণ।
বধুয়া আমার মন বধুয়া, খোপায় কদম ফুল
চিরন দাঁতের হরিন চোঁখে, লম্বা বেনীর চুল।
হাজার ফুলের মাঝে এমন, কোথায় বল দেখি
প্রিয়া আমার দাড়িয়ে আছে, আমার নাকি সে কি!
দুপুর বেলা বাড়ী গেলে, শীতল পাটি মেলে
আশেপাশে বসে তখন, সুখ দুঃখের কথা বলে।
সুখ কোথায় গো, মন ভোমরা আমরা গরীব মানুষ
সুখের কথা যারা বলে, তারা রঙিন ফানুস।
আশায় আছি তাদের মত, দিন কি আমার হবে?
হলেও সেদিন দোয়া করি, তুমি অাশেপাশে রবে।
শ্রোতের মাঝে দাড়িয়ে আছে, সাগর জলের খেলা
সরষে মাঠে মৌমাছিরা, কাটিয়ে দেয় বেলা।
ফুলের গন্ধে মন ভরে না, থাকতে নাহি ঘরে
কেমনে যাব ধানের ক্ষেতে, হাড় কাপানো জ্বরে।
ঐ যে দেখ পুকুর পাড়ে, তালের সারি সারি
রসের মিঠাই রসের পিঠা, খেজুর গাছে হাড়ী।
উনুন পানে সকাল বেলা, শিশির ভেজা ভোর
নামাজ শেষে তোমার পাশে, কাঠের পিড়ি মোর।
ও বধুয়া নীরব কেন, পিছন পানে চাও
দুঃখের দিনে মধুর সুরে, একটি কলি গাও।
যে কলিটি মেঘলা দিনে তোমার ছোট বোনের মুখে
আজকে না হয় আবার শুনাও দুঃখের দিনের সুখে।
রাখ তোমার পুরান কথা, নতুন কথা কও
কখন যাইবা গঞ্জের ঘাটে, ব্যাগটা হাতে লও।
বাইগুন আনবা লম্বা দেইখা, ইলিশ যদি পাও
তড়িৎ কর খাড়াই আছে, রহিম শেখের নাও।
জানি গো বধু সরিষা ফুলে, যায় না গাঁথা মালা
তার পরেও আসায় থাকি, মেলিয়া রাখি ডালা।
Tags
ছড়া-কবিতা