- নাইয়োর এসেছে সখিনা বাপের বাড়ি,
চার বেয়ারার পালকি চরে সাদা বসন পরে,
পাগলী অভিমান করেছে মেয়ে ওঠেনা আজ সে ঘরে,
নির্বাক হয়ে শুয়ে আছে ঘরের মেঝেতে পরে।
সখিনার মা এসে ডাকিয়া কহিল বাছা,
এত কেন অভিমান কেন বুঝিনা তাহা।
মায়ের আহাজারি শুনিয়া সকলে,
ছুটে এসে ভিড় করে সখিনার ধারে।
বড় সাধ করে অতি আদর করে,
সখিনাকে পাঠিয়েছিল পরের ঘরে।
সখিনারে- কথা কহ মা, হলো কি তোর আজ?
বাপের ভিটায় এসেও তোর এত কেন লাজ।
কয়না কথা নিষ্প্রাণ দেহ,
দেখিবে না তারে আর কভু কেহ।
বিয়ে দেয়ার কালে বরের ছিল দাবি ঘড়ি,
সাইকেল আর সোনা গয়না লাগবে দুই ভরি।
সখিনার বাবা কৃষক গফুর দরিদ্র অতি,
যৌতুকের লাগি জামাইয়ের কাছে করিল মিনতি।
কথা দিল পৌষ মাসে ফসল বেঁচে সব দাবি দিবে মিটিয়ে।
হায়রে পোরা কপাল কি করিবে এখন সে,
সকল ফসল এবারে গেল মহাগ্রাসী বানে ভেসে।
সখিনার স্বামী তাই অতি ক্ষিপ্ত হইয়া,
অত্যাচার শুরু করে সখিনারে অবলা পাইয়া।
সখিনার দিন কাটে কঠিন অত্যাচারে,
অবশেষে প্রাণ গেল এক কঠিন প্রহারে।
বাপের বাড়িতে ঘনঘন খবর আসে,
সখিনার প্রান হারিয়েছে কঠিন অসুখে।
যৌতুকের লাগিয়া আর কত সখিনারে
এভাবে দিতে হবে প্রাণ?
বিধাতাই জানে এর কি নাই অবসান?
এর কি কোন বিচার হবেনা কোন কালে?
এসো আজ রুখে দাঁড়াই সকলে মিলে।
"যৌতুকমুক্ত সমাজ চাই" ধরো স্লোগান,
আর কোন বোনকে যেন দিতে না হয় প্রাণ।
Tags
ছড়া-কবিতা