মানুষ তুমি কেন ভুলে যাও, তুমি সৃষ্টির সেরা জীব

কিছু কিছু মানুষ আসলেই অমানুষ। সৃষ্টির সেরা জীব অমানুষ হয়ে গেছে। চারিদিকে অমানুষের ছড়াছড়ি। একজন ভালো মানুষও এই অমানুষদের ভিড়ে অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। শহর, গ্রাম, রাজধানী সব জাগায় ছড়িয়ে গেছে অমানুষে। ঘরের ভেতর সারাদিন বসে থাকলে এই অমানুষদের কাছ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। কিন্তু সারাদিন ঘরে থাকা সম্ভব না। নানান কাজে বের হতে হয়। সব শ্রেনী পেশা মানুষের মধ্যে অমানুষ আছে। হয়তো পৃথিবীর সব দেশের অমানুষ আছে কিন্তু আমাদের দেশের মতো এত অমানুষ আর কোথাও নেই। আমি মানুষ দেখলেই বুঝে ফেলি, সে মানুষ না অমানুষ। যারা অমানুষ ওদের হাসিতে কুটিলতা দেখা যায়। বাসে উঠবেন বেশ কয়েকটা অমানুষ পাবেন। কোনো অফিসে যাবেন- বেশ কয়েকটা অমানুষ পাবেন। পার্কে যাবেন অমানুষ পাবেন। লেখক-প্রকাশের মধ্যেও অমানুষ আছে। প্রতিটা এলাকা, পাড়া মহল্লায় অমানুষ পাবেন। মসজিদেও অমানুষ আছে। কথা হচ্ছে কিছু মানুষ কেন অমানুষ হয়? এই অমানুষ গুলোই অমানবিক কাজ করে বেড়ায়। মায়ের পেট থেকে শুদ্ধ পবিত্র হয়েই জন্ম নেয় মানুষ। তারপর কিভাবে একজন মানুষ অমানুষ হয়ে যায়? অমানুষ হওয়ার কারন কি? পরিবার থেকে সে কি ভালো হওয়ার শিক্ষা পায়নি? স্কুল থেকেও কি ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা পায়নি? আচ্ছা, আমি যে এত পটর পটর করছি- আমি নিজে কি ভালো মানুষ? অবশ্যই আমি ভালো মানুষ। সহজ সরল ভালো মানুষ।

অমানুষ বলতে যে শুধু পুরুষ মানুষ তা কিন্তু না। প্রচুর মহিলা অমানুষও আছে। তারা ভয়াবহ পিশাচ শ্রেনীর অমানুষ। তাদের মন মানসিকতা ভয়াবহ নোংরা। আমাদের চারপাশে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দেখি। তাদের নানান রকম চিন্তা। বেশির ভাগ চিন্তা ভাবনা হলো- কি করে মানুষকে ঠকানো যায়। সবচেয়ে বড় অমানুষ তারাই, যারা রাস্তায় মেয়েদের দিকে কুৎসিতভাবে তাকায়। তারা কি তাদের মা-বোনদের দিকেও এভাবে তাকায়? বাজারে যাবেন, মাছ বিক্রেতা আপনাকে ওজনে কম দিবে। বাসে উঠতে যাবেন আপনাকে ধাক্কাধাক্কি করতে হবে। অফিসে চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য আপনাকে তেলামি করতে হবে। সহকর্মীদের কঠিন ছোবল থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশল জানতে হবে। সহজ সরল সত্য কথা হলো- নিজের স্ত্রী আর সন্তান ছাড়া আর কোথাও পরিচ্ছন্ন স্বচ্ছ পবিত্র আনন্দ আর কোথাও পাবেন না।

যদি পৃথিবীতে একটা গবেষনা করা হয়- কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি অমানুষ বা অমানবিক তাহলে বাংলাদেশের নাম এক নম্বরে আসবে। প্রচুর টাকা থাকলে আপনি যে কোনো অন্যায় কাজ করতে পারবেন। এবং অন্যায় করার পরও সবার কাছ থেকে বাহবা পাবেন। যে বাবা-মার অনেক গুলো সন্তান থাকে। সেই সন্তান গুলো যখন বড় হয়ে যায় এবং বিয়ে করে, তখন দেখবেন বাবা-মা বদলে যায়। তখন যে ছেলে বা মেয়ে টাকা বেশি দিবে বাবা-মা তাকেই সাপোর্ট বেশি করবে। ভাবা যায় নিজের জন্মদাতা বাবা-মা বদলে যায়! কাজেই শান্তিতে বাঁচতে হলে- উন্নত দেশে চলে যেতে হবে। তাহলে আপনি জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবেন।

চার বছর আগে মেলা থেকে একটা আম গাছ কিনি। গাছটা  লাগাই, খুব যত্ন নিতে থাকি। কিন্তু ফল আর আসে না। অথচ গাছটা কেনার সময় বিক্রেতা বলেছিল- সারা বছর এই গাছ আম দিবে। চারিদিকে শুধু মিথ্যা আর গলাবাজি। নামাজ পড়ছে, নামাজ শেষ করেই- টুপি মাথায় রেখেই মিথ্যা বলছে। অন্যের ক্ষতি করছে। অসংখ্য মানুষকে আমি দেখেছি ধীরে ধীরে অমানুষ হয়ে যেতে। লোক দেখানো হজ্জ করছে। বাইরে যথেষ্ট ভদ্র লোক সেজে থাকে কিন্তু বাসায় বউকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, পিটায়। মানুষ জানে তার মরতে হবে। তবু সে বদমাইশি ছাড়ে না। আমৃত্যু বদমাইশি করেই যায়। মানুষ তুমি কেন ভুলে যাও, তুমি সৃষ্টির সেরা জীব।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form